আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বাধীনতা এসেছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব-সংগ্রামে। সিপাহী বিদ্রোহ থেকে বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রাম পুঞ্জিভূত হলেও স্বাধীনতা আসেনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে টুঙ্গীপাড়ায় মার্কিন কাপড়ে, ৫৭০ সাবানে গোসল দিয়ে ১৮ জন মানুষ জানাজা দিয়ে দাফন করেন, যার সবটাই জিয়াউর রহমানের মস্তিষ্কপ্রসূত। সেই টুঙ্গীপাড়া আজ বাঙালির তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে।
২০০ বছরের ইতিহাসে সব অন্যায়ের প্রতিবাদ ও আন্দোলন সংগ্রামে কৃষকের অবদানের বিভিন্ন বর্ণনা তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ৭১-এর পরাজিত শক্তির মদদে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়, যার প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগী জিয়াউর রহমান। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধে ইনডেমনিটি আদেশ সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে এবং জেল হত্যাকাণ্ডের পর হত্যাকারীদের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দেন। জিয়াউর রহমান গোলাম আজমকে এদেশে ফিরিয়ে আনেন এবং শাহ আজিজ, আব্দুল আলীমকে মন্ত্রী বানান। ২০০১ সালে অনুরূপভাবে খালেদা জিয়া নিজামী ও মুজাহিদকে মন্ত্রী বানান। পাকিস্তানপ্রীতির এমন দৃষ্টান্ত বিরল।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের মধ্যে কৃষক লীগ সবচেয়ে সুশৃঙ্খল ও ডিজিটাল সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে, যা অন্যান্য সংগঠনের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে।
আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী বলেন, এখনো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও মহিমার অজানা কথা সারাদেশে কৃষকের মাঝে প্রচার করার পরামর্শ দেন।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন।












